হাওজা নিউজ এজেন্সি: তার মূল বক্তব্য ছিল “আহলে বায়েত (আ.)-এর সাথে সম্পৃক্ত ইসলামকে কেন আমাদের কাছে তুলে ধরা হয়নি? এই ইতিহাস চেপে রাখার জন্য দায়ী কারা?”
ইতিহাসের প্রশ্ন: “ইমাম আলী (আ.)-কেই কেন যুদ্ধ করতে হলো?”
রাজাভী বলেন, “তাদের মতে ইমাম আলী (আ.) ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলীফা। কিন্তু তাঁর খেলাফতের সময় তাঁকে জামাল, সিফিন, ও নাহরওয়ান নামক ভয়াবহ যুদ্ধে জড়াতে হয়। অথচ আগের খলীফাগণ এমন বিপুল অভ্যন্তরীণ বিরোধের মুখে পড়েননি। কেন?”
প্রশ্ন হলো, কেন শুধুই আলীর (আ.) খেলাফতকালে এমন অস্থিরতা সৃষ্টি হয়?”
তার মতে, “সত্য ও ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্বকে যুগে যুগে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। ইমাম আলী (আ.)-এর খেলাফত সে সত্যের প্রকাশ ছিল, যা অনেকের জন্য ছিল অস্বস্তিকর ও আপত্তিকর।”
নাহজুল বালাগা: ইমামের ভাষণ অথচ পাঠ্য নয়?
বক্তা গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন, “ইমাম আলী (আ.)-এর বক্তৃতা, উপদেশ ও চিঠি সংকলিত নাহজুল বালাগা নামক গ্রন্থটি ইসলামি জ্ঞান ও নেতৃত্বনীতির এক অনন্য সম্পদ। কিন্তু এই গ্রন্থ মসজিদে, মাদ্রাসায় বা ইসলামি পাঠ্যক্রমে কোনো স্থান পায় না। কেন?”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এই বইয়ে ন্যায়বিচার, রাষ্ট্রচিন্তা, আল্লাহভীতি, নেতৃত্বের নৈতিকতা — সবই রয়েছে। তবু আমাদের শিশু, যুবক এমনকি আলেমসমাজও এর সঙ্গে অপরিচিত।”
“নিজ যুগের ইমামকে না চেনা মানে জাহেলিয়াতের মৃত্যু”— তাহলে মুয়াবিয়া?
রাজাভী বলেন, “রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিজের যুগের ইমামকে চিনলো না, সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করলো।”
তিনি বলেন, “মুয়াবিয়া তো ইমাম আলী (আ.)-এর খেলাফতকে মানেননি, বায়াতও নেননি। তাহলে কি সে এই হাদীসের আলোকে জাহেলিয়াতের মৃত্যু বরণ করেননি?”
তিনি বলেন, “আমরা যদি সত্য বুঝে গ্রহণ না করি, আর রাজনৈতিক সুবিধার জন্য সত্যকে এড়িয়ে যাই, তাহলে ইতিহাসের কাঠগড়ায় একদিন না একদিন আমাদেরই দাঁড়াতে হবে।”
আহ্বান: “ইসলামের সত্য ইতিহাস জানুন, পড়ুন, চিনুন”
বক্তার ভাষায়, “আমরা যদি ইসলামকে বুঝতে চাই, তাহলে আমাদের সত্য ইতিহাস জানার সাহস থাকতে হবে। আহলে বায়েতের (আ.) ইসলামী ব্যাখ্যা, তাঁদের জীবন, তাঁদের ত্যাগ — এসব জানলে অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। কিন্তু এগুলো বহুদিন ধরে আমাদের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়েছে।”
আপনার কমেন্ট